জনতার কথা
সাদ্দাম ইন্টারনেট
'লিভ বিউটিফুল' বা 'সৌন্দর্যে বাঁচো' প্রতিযোগিতায় সেরার মুকুট পরেছেন কুমিল্লার মেয়ে সামিয়া সাইদ। লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় কয়েক হাজার তরুণীর মধ্য থেকে সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হলেন তিনি।
প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছেন ময়মনসিংহের প্রসূন আজাদ। আর পাবনার সামিহা হোসেন খান হয়েছেন দ্বিতীয় রানারআপ। গতকাল শুক্রবার রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আসরে বিচারকদের রায় ও দর্শকদের ভোটে বিজয়ীদের নির্বাচিত করা হয়েছে।
লাক্স সুপারস্টার সামিয়া সাইদ পেয়েছেন একটি নতুন গাড়ি, অভিনয়ের ওপর বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি এবং চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ। তাঁর হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেন ইউনিলিভার বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ডিরেক্টর কে এস মিনহাজ। উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের চুক্তিপত্র তুলে দেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। গতবারের সুপারস্টার রাখী তাঁর মাথায় পরিয়ে দেন বিজয়ের মুকুট।
প্রথম রানারআপ প্রসূন আজাদ পেয়েছেন পাঁচ লাখ টাকার চেক। দ্বিতীয় রানারআপ সামিহা পান তিন লাখ টাকার চেক। অন্য দুই ফাইনালিস্ট ছিলেন মানিকগঞ্জের সাদিয়া আনজুমান্দ বানু সোমা ও ময়মনসিংহের ফাতিমা-তুজ-যোহরা ঈশিতা। তাঁরা পেয়েছেন এক লাখ টাকা করে।
প্রতিযোগিতায় পন্ডস বিউটিফুল স্কিন পুরস্কার পেয়েছেন তারিন, ক্লোজআপ বিউটিফুল স্মাইল হয়েছেন সামিহা এবং সানসিল্ক বিউটিফুল হেয়ার নাদিয়া। তাঁদের প্রত্যেকের হাতে এক লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া সবাইকে দেওয়া হয় নানা রকম উপহার সামগ্রী।
চূড়ান্ত পর্বে ছিল সংগীত ও নৃত্যের জমকালো আয়োজন। সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের পাশাপাশি দেশের বিশিষ্ট শিল্পীদের প্রাণোচ্ছল পদচারণ ও পরিবেশনায় মাতোয়ারা ছিল প্রায় তিন ঘণ্টার মনোরম আয়োজন। মেধা ও সৌন্দর্যের নানামাত্রিক প্রতিযোগিতা আর প্রশ্নবাণে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে ওঠে প্রতিযোগীদের মধ্যে। টানটান উত্তেজনার মধ্যে সঞ্চালক মুনমুন ঘোষণা করেন আগামী দিনের তারকার নাম। আর বাংলাদেশ খুঁজে পায় নতুন লাক্স সুন্দরী সামিয়াকে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিযোগিতার আয়োজক প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ডিরেক্টর কে এস এম মিনহাজ। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের নারীদের মেধা ও সৌন্দর্য বিকাশে ইউনিলিভার এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে চলেছে। এর মাধ্যমে নারীরা তাঁদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছেন।'
এশিয়াটিকের কর্মকর্তা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেন, এ প্রতিযোগিতার একটি দর্শন আছে- নারীর মধ্যে সুপ্ত প্রতিভাকে খুঁজে বের করা, তাঁকে উৎসাহিত করা, সুন্দর ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বাঁচার শক্তি সব নারীর মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। এ ছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর।
প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, অভিনেতা তৌকীর আহমেদ, অভিনেত্রী আফসানা মিমি ও তারিন। চূড়ান্ত পর্বে বিশেষ বিচারক ছিলেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক শাইখ সিরাজ ও আসাদুজ্জামান নূর।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শুরু হয় লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টারের সপ্তমবারের এই আয়োজন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কয়েক হাজার প্রতিযোগী আঞ্চলিকভাবে অডিশনে অংশ নেন। সেখান থেকে প্রথম ধাপে ৩০০ তরুণীকে নির্বাচন করা হয়। পরে তাঁরা ঢাকায় অডিশনে অংশ নেন। তাঁদের মধ্য থেকে বেছে নেওয়া হয় ৫০ জনকে। সেখান থেকে ৩০ জন, এরপর ২০ জন। তাঁদের নিয়ে বুট ক্যাম্পে নানা বিষয়ে দেওয়া হয় প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন জনপ্রিয় অভিনেতা, পরিচালক ও ফ্যাশন ডিজাইনাররা। সেখান থেকে বাছাই করে শীর্ষ ১০ সুন্দরীকে নিয়ে শুরু হয় গ্রুমিং সেশন। সেখানে ফ্যাশন থেকে শুরু করে মডেলিং, বিউটি, গ্ল্যামার, নাচ ও অভিনয়ের ওপর দক্ষতা বিবেচনা করে বেছে নেওয়া হয় সেরা পাঁচজনকে।
২০০৫ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় বিজয়ীর মুকুট পরেছিলেন শানু। ২০০৬ সালে জাকিয়া বারী মম, ২০০৭ সালে বিদ্যা সিনহা মিম, ২০০৮ সালে চৈতী, ২০০৯ সালে মেহজাবীন ও ২০১০ সালে মুকুট জেতেন রাখী। ২০১১ সালে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি।
|